কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারীদের ‘জিম্মিঘর’ থেকে অপহৃত ১৪ জনকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী এলাকার সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে এই উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। অভিযুক্ত মূলহোতা মো. সাইফুল ইসলাম (৩৯) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার লেঙ্গুরবিল গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত হাফেজ আহমদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “টেকনাফ ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচার ও অপহরণের মতো অপরাধ হয়ে আসছে। বিজিবি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় জিম্মি করে রাখা ১৪ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।”
তিনি জানান, গত ২৪ এপ্রিল গভীর সাগর পথে মিয়ানমার থেকে মানব পাচারের সময় অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামসহ পাচারকারী চক্রকে আটক করতে অভিযান চালানো হয়। টহল দল চ্যালেঞ্জ করলে তারা পালিয়ে যায়, তবে তখনও কিছু ভুক্তভোগী উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মানব ও মাদক পাচারের মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, পাচারকারী চক্রটি মোবাইলের মাধ্যমে দালালদের প্রলোভনে ফেলে তাদের টেকনাফে আনে। পরে নানা কৌশলে অপহরণ করে দুর্গম এলাকায় আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সেই সঙ্গে চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হতো।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের নিরাপদে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও চলছে।